দেশ থেকে কুষ্ঠ নির্মূলের অঙ্গীকার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ৪ জুন,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:২৩ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য বিভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাসাকাওয়া ইয়োহেই-এর সাথে বৈঠককালে তিনি এসব কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে জানান, কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার বড় রকমের সফলতা অর্জন করেছে। ১৯৯১ সালে প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে কুষ্ঠ রোগের বিস্তারের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ যা সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে বর্তমানে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
কুষ্ঠ নির্মূলের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিরো কুষ্ঠ অর্জনে ইতোমধ্যে বিশদ কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য কুষ্ঠ শনাক্তকরণ, যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করা, কুষ্ঠ রোগীদের পুর্নবাসন, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানামুখী প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে। পঞ্চম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর প্রোগ্রামের আওতায় এজন্য কুষ্ঠ নির্মূলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ডা. সামন্ত লাল সেন বৈঠকে সাসাকাওয়া ইয়োহেইকে বাংলাদেশে কুষ্ঠ নির্মূলে অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। এছাড়া বাংলাদেশে কুষ্ঠ রোগীদের জন্য বিশেষায়িত একটা হাসপাতাল নির্মাণে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশনকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। কুষ্ঠ রোগ ছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার নানান পর্যায়ে সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে সেটাও অবহিত করেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।