ওষুধের দাম বাড়ানো নিয়ে চাপে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৮ এএম, ৪ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:২২ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের ষষ্ঠ রাউন্ডের চূড়ান্ত ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন ঔষধ প্রশাসনের ডিজিহোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের ষষ্ঠ রাউন্ডের চূড়ান্ত ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন ঔষধ প্রশাসনের ডিজি।
ওষুধের দাম বাড়াতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে চাপ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ।
আজ বুধবার (০৪ জানুয়ারি) রাজধানী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের ষষ্ঠ রাউন্ডের চূড়ান্ত ফলাফল অবহিতকরণ কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে কাঁচামাল আনতে সমস্যা হচ্ছে, যার কারণে ওষুধের দাম বাড়াতে আমাদের চাপ রয়েছে। এ জন্য চিকিৎসকদের এগিয়ে আসতে হবে।’
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘দেশের ৯৮ ভাগ ওষুধ আমরা তৈরি করি। ২ ভাগ ওষুধ বাইরে থেকে আনতে হয়। তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়। চাপ সামাল দিতে সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। একই সঙ্গে সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন কোম্পানি থেকে চিকিৎসকদের নেওয়া বিভিন্ন উপহার কমিয়ে দিতে হবে।’
একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্যসেবায় ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যক্তি খরচ কমেছে। এর আগে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিল চিকিৎসায় ব্যক্তির পকেট খরচ শতকরা ৭২ টাকা। বর্তমানে তা ৬৮ দশমিক ৫ টাকা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২০২০ সালের সরকারের মাথাপিছু ব্যয় ৫৪ ডলার। বর্তমানে সরকার স্বাস্থ্যসেবায় যে অর্থ ব্যয় করে, তার সবচেয়ে বেশি হয় ঢাকা বিভাগে। আর সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টস বলছে, ‘স্বাস্থ্যের জন্য সরকারের গড় মাথাপিছু ব্যয় ৪ হাজার ৫৭৮ টাকা বা ৫৪ ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৭ ভাগ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সবচেয়ে কম ৩ ভাগ ময়মনসিংহ বিভাগে। মাথাপিছু হিসেবে ঢাকা বিভাগের জনপ্রতি ব্যয়ের পরিমাণ ৭ হাজার ৩৯ টাকা এবং ময়মনসিংহে ২ হাজার ৬০ টাকা।’