করোনা টিকার প্রথম ডোজ ৩ অক্টোবরের পর পাওয়া যাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৩৯ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৩৮ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, করোনা টিকার প্রথম ডোজ আগামী ৩ অক্টোবরের পর পাওয়া যাবে না।
আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খুরশিদ বলেন, ‘আজ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত। এই বিশেষ কর্মসূচি তাদের জন্যই, যারা এখনও টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেননি। এরপর থেকে আর টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে না। তবে, বুস্টার ডোজ চলবে।’ স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, ‘চতুর্থ ডোজ নিয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও নির্দেশনা দেয়নি। যেসব দেশে চতুর্থ টিকা দেওয়া হচ্ছে, তারা নিজেদের দেশের প্রটোকল মেনে এটা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি নির্দেশ দেয়, তাহলে তখন সেটা করা হবে। খুরশিদ আলম বলেন, ‘আমরা বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিকে উজ্জীবিত করতে চাচ্ছি। কারণ, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো এবং কিছু মানুষ এখনও টিকা নেননি। তবে, দেশে ইতোমধ্যেই টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। মোট জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ, ৯০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪১ শতাংশ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছে। খুরশিদ আরও বলেন, ‘টিকার পরিমাণের স্বল্পতা রয়েছে, সঙ্গে কিছু টিকার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। ‘কোন কোম্পানির টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে?’, প্রশ্নের জবাবে খুরশিদ বলেন, ‘সব টিকা একসঙ্গে আসেনি। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন টিকা এসেছে। তাই সব টিকার মেয়াদই শেষ হয়ে যাচ্ছে—বিষয়টি এমনও নয়। আর বর্তমানে তিন কোটি টিকা হাতে রয়েছে।’ এ সময় অধিদপ্তরের টিকাদান কর্মসূচি কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘টিকা এখনও আমাদের পাইপলাইনে রয়েছে, কিন্তু হাতে থাকা টিকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো আনা যাবে না।’ তিনি জানান, ৫ থেকে ১১ বছর শিশুদের চলমান টিকা আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হবে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে করা বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিতে ৭৮ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছিল। টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।