বুস্টার ডোজে ফাইজারের বদলে মডার্না দেওয়ার নির্দেশ : স্বাস্থ্য অধিদফতর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৫১ পিএম, ১৩ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫১ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের বদলে মডার্নার টিকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচের লাইন ডিরেক্টর ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হকের পাঠানো এক নির্দেশনায় এ কথা বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে দেশের সকল পর্যায়ে ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তৃতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজারের পরিবর্তে মডার্নার কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।’
‘এ ক্ষেত্রে ফাইজার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শুধুমাত্র স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের (১২-১৭ পূর্ণ বছর বয়সী) উভয় ডোজ এবং যারা প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো,’ বলেও নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, সিটি কলেজের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা এবং সব পৌরসভার মেডিকেল অফিসারদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ডিসেম্বর সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে তারা বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
আগে যে হাসপাতাল থেকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সেই হাসপাতাল থেকে তার মোবাইলে বুস্টার ডোজের তারিখ জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। সেই কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে তৃতীয় ডোজ নিতে হচ্ছে।
দেশে এখন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাকের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার, মডার্না অথবা অ্যাস্ট্রাজেনেকা দেওয়ার সুপারিশ করেছে ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন টেকনিক্যাল কমিটি-নাইট্যাগ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত সারা দেশে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫২৬ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ লাখ ৭০ হাজার ৪৬২ জন পেয়েছেন ফাইজারের টিকা। এ ছাড়া ২ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩০ জন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ২২ হাজার ৭৩৪ জন মডার্নার টিকা পেয়েছেন বুস্টার ডোজ হিসেবে।