এখনও লকডাউনের পরিস্থিতি হয়নি - স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২৪ পিএম, ৩ জানুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩৫ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দেশে করোনা সংক্রমণ যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে লকডাউনের পরিস্থিতি এখনও হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ ইস্যুতে ডাকা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি লকডাউনের পর্যায়ে যাতে আমাদের যেতে না হয়। এর জন্য যা যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার, সেগুলো নেয়া হচ্ছে। এরপর দেখা যাক কী দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, টিকা ছাড়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া যাবে না। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। গণপরিবহনে যাত্রী চলাচলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত আসনের চেয়ে কম যাত্রী পরিবহনের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার চিন্তা নেই। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হলে শিক্ষার্থীদের টিকা নিয়ে যেতে হবে। করোনার সংক্রমণ রোধে মাস্ক না পরলে জরিমানা করা হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন, তথ্য অধিদফতরের প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়া।
তিনি বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের চলাফেরার ওপর নতুন করে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কেউ গণপরিবহনে উঠতে পারবে না। শুধুমাত্র করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা অফিস-আদালত, রেস্টুরেন্ট, শপিং মলে প্রবেশ করতে পারবে। রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে লোক সমাগম সীমিত করা হবে। গণপরিবহনেও আসন সংখ্যা সীমিত করা হবে। খুব শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শেষে ওমিক্রন মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের হাসপাতাল প্রস্তুত আছে।
সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে। টিকা কার্যক্রম চালু আছে। আমাদের ২০ হাজার বেড সবই রেখে দিয়েছি। ডাক্তাররা প্রশিক্ষিত কিভাবে করোনার চিকিৎসা করতে হয়। দেশবাসীও এই বিষয়টি জানে। আশংকার কথা হচ্ছে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। আজকেও ৩.৪ শতাংশ সংক্রমণ হার। মৃত্যুহার যদিও কম আছে। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে থাকলে মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই। করোনা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে লকডাউনের চিন্তা আসবে। আবারও স্কুল কলেজ নিয়ে চিন্তা আসবে। লকডাউন দেয়া হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চিন্তা ভাবনা থাকবে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। লকডাউন আসলে পরিবহন, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের ল্যান্ডপোর্ট, সিপোর্ট, এয়ারপোর্ট যেগুলো আছে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়ানো এবং আরও মজবুত করা হবে। আমরা এন্টিজেন টেস্ট করছি, পিসিআর টেস্টও করছি এবং কোয়ারেন্টিনের জন্য আরও তাগিদ দেয়া হয়েছে। কেউ আক্রান্ত থাকলে তাদের যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা।