রেললাইনে ‘বাংলা ব্লকেড’, ঢাকা থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৭ পিএম, ১০ জুলাই,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:২২ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
রকারি চাকরিতে সব গ্রেডে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে এক দফা দাবি আদায়ে বুধবার (৮ জুলাই) সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে আজ তৃতীয় দিনে সকাল থেকে বিভিন্ন সড়ক ও রেলপথ ব্লক করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা
কোটা সংস্কারের দাবিতে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের চলমান বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে বুধবার সকাল থেকে আন্দোলন শুরু হয়। সকালে রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর, ফার্মগেট, আগারগাঁও ও মহাখালীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ব্লক করে দেয় শিক্ষার্থীরা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারওয়ান বাজার রেলগেট ও মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে কাঠের গুড়ি ফেলে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এতে ঢাকার সঙ্গে সাড়া দেশে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোরদৌস বলেন, দুপুর ১২টার পর কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইনে কাঠ ফেলে অবরোধ করে রেখেছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত এখানে চলে এসেছি । যাতে করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
রেলওয়ে থানার ওসি বলেন, রেললাইন অবরুদ্ধ থাকায় ঢাকার সঙ্গে সাড়া দেশের রেল যোগাযোগ সাময়িক সময়ে জন্য বন্ধ আছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত রেল চলাচল স্বাভাবিক করতে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ রেললাইন অবরুদ্ধ করা হয়েছে। দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পর্যাক্রমে আন্দোলন আরও বেগবান হবে বলেও জানান তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তিশা বলেন, আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন মানতে হবে। একটি স্বাধীন দেশে সরকারি চাকরিতে এতো বৈষম্য থাকবে কেন? সংবিধান অনুযায়ী পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে কোটা পদ্ধতি। অথচ সরকার গোটা জাতিকে পিছিয়ে ফেলছে।
দুপুরে কারওয়ান বাজার ও মহাখালী রেলগেইট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রেললাইনে ওপরে কাঠের বিভিন্ন গুড়ি ও বাঁশ ফেলে অবরোধ করছে। এছাড়াও রেল ক্রসিংয়ের ব্যারিকেডের গেইট ফেলে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এতে রেলগেইট দিয়ে কোনও যানবাহনও চলাচল করতে পারছে না। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও রোগী বহনকারী গাড়িগুলোকে চলাচলের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
এদিন রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ছাড়াও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।