মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৩ পিএম, ১৯ মে,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:১১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম। শনিবার (১৮ মে) ‘মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করে এ কথা বলেন রেলপথমন্ত্রী।
দুপুরে মাগুরা রামনগর ঠাকুরবাড়ি এলাকায় নবনির্মিত মাগুরা রেলপথ স্টেশনে মন্ত্রী বলেন, ‘মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ চলমান। ইতোমধ্যে মাগুরার অংশে আমরা জমি অধিগ্রহণ শেষ করেছি। এ এলাকায় রেলপথ বাস্তবায়িত একটি স্বপ্নের দ্বার উন্মোচন হবে। মাগুরার মানুষ রেলপথে বিভিন্ন স্থানে সহজেই যেতে পারবে। আমরা এ রেলপথকে সম্প্রসারিত করতে চাই।
তিনি বলেন, মাগুরা হয়ে এ রেলপথ যাবে ঝিনাইদহ অংশের কালীগঞ্জ সীমান্তে। ইতোমধ্যে মাগুরার অংশে রেলপথ ব্রিজের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে স্থানীয়ভাবে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা অল্পদিনের মধ্যেই শেষ হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলওয়েকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। আর এ লক্ষ্যেই উন্নত দেশের মতো পরিকল্পনা করে রেল খাতে উন্নয়ন চিন্তা করা হচ্ছে। রেললাইন শুধু মাগুরা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে না; ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পর্যন্ত সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মধুখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করা হয় ২০২১ সালে। এরইমধ্যে ফরিদপুর অংশের প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার প্রথমে মন্ত্রী কামারখালী এলাকায় প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে দুপুর ২টায় তিনি মাগুরা ঠাকুরবাড়ির এলাকায় প্রস্তাবিত স্টেশনের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
এ সময় মাগুরার দুই সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. শ্রী বীরেন শিকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, নবনির্বাচিত মাগুরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রানা আমির ওসমান, সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের পিতা খন্দকার মাশরুর রেজা প্রমুখ।