কাঁচি দিয়ে গলা কেটে মাকে হত্যা, ঘাতক ছেলে গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:১৭ এএম, ২৮ এপ্রিল,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:৩৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিয়ের জন্য বার বার বাবা-মাকে বলার পর বিয়ে না দেওয়ায় মা রানু বেগমকে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ঘাতক ছেলে মো. রাসেল। এরপর ঘর থেকে মোবাইল ফোনে মার হত্যার ঘটনা বাবা আতর খাঁনকে জানায় সে। কিছুক্ষণ পর আতর খাঁন কাজ থেকে ঘরে এসে স্ত্রীর নিথরদেহ খাটে পড়ে থাকতে দেখেন।
শনিবার বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘাতক ছেলে রাসেলের বরাত দিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়।
শুক্রবার দুপুরে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের খান বাড়িতে। হত্যার শিকার রানু বেগম ওই বাড়ির আতর খাঁনের স্ত্রী এবং ঘাতক রাসেলের বাবা।
হত্যার ঘটনার মাত্র ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেনসহ চৌকস দল রাসেলকে পৌর এলাকার কেরোয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। রাসেলের দেয়া তথ্যে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঁচি ও রক্তমাখা লুঙ্গি ও সার্ট উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শনিবার ছেলেকে হত্যা মামলার আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন বাবা আতর খাঁন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানায়, রাসেল তিন মাস যাবৎ উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা করত। তার বাবা-মা নিষেধ করলেও রাসেল তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মারধর করে। বিষয়টি তার বাবা আতর খাঁন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন আহমেদ রাজনকে অবগত করলে আসামি তার বাবা-মাকে প্রাণে হত্যা করবে বলে ভয়-ভীতি দিয়ে আসছিল। ২৬ এপ্রিল ভোর ৫টার দিকে রাসেলের বাবা আতর খাঁন কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর মাকে ঘরে একা পেয়ে সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলামসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
বিকেলে আসামি রাসেলকে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে।