আধিপত্য বিস্তারের জেরে কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ, নিহত ১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ১৮ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:৫৬ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বৈশাখী মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শাওন (২০) নামে এক কিশোরের নিহত হয়েছে। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৬ জন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাজহারুল ইসলাম শাওন উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের উত্তর রাজারামপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির প্রবাসী কচি মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় উত্তর রাজারামপুর বশিরিয়া আলিম মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সেনবাগ থানার ওসি মো.হেলাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শাওন নামে একজন নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) থেকে উপজেলার সেবারহাট বাজারের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একদিনের বৈশাখী মেলার আয়োজন করার কথা ছিল বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার মিলে। এজন্য গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
আরও জানা যায়, এরইমধ্যে বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে মেলায় চলে আসে ১৫-২০টি দোকান। একই দিন রাত ৮টার দিকে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে নিহত শাওন গ্রুপের বিরোধ বাধে। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে সেবারহাট বাজারের সায়েন্স ক্লাবের সামনে হৃদয়ের নেতৃত্বে শাওনের বুকে, পেটে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং একই সময়ে পিয়াস নামে আরও একজনকে গুরুতর আহত হয়।
পরে তাদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওন মারা যায়। আর পিয়াসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, অনুমোদনহীন মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ বাধে। ওই বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবৈধভাবে মেলা বসানো ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিছু আসামির নাম আমরা পেয়েছি। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।