এখনো উদ্ধার হয়নি সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ৩ এপ্রিল,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ০১:৫৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ব্যাংক লুটের পর অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে প্রায় ১৭ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এখনো থানায় মামলা করেনি কেউ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রুমা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজাহান কালবেলাকে বলেন, উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) সৈকত শাহিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুমা সার্কেল মো. জুনায়েদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের অভিযোগ উঠেছে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রুমা উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত ৭০-৮০ জনের সদস্য আলাদা গ্রুপে উপজেলা মসজিদ ঘেরাও করে মুসল্লিদের মোবাইল ফোন ছিনতাই, আনসার ও পুলিশের অস্ত্র ও গুলি লুট এবং সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করে।
ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে ১০টি অস্ত্র ও ৩৮০ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়। ব্যাংকের অদূরে থাকা আনসার ব্যারাক থেকে ৪টি অস্ত্র ও ৩৫টি গুলি ছিনিয়ে নেয় সশস্ত্র এ সন্ত্রাসীরা। ওই সময় পুলিশ ও আনসার সদস্যদের মারধরও করা হয়।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মো. দিদারুল আলম বলেন, রুমায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। সোনালী ব্যাংক লুট, ব্যাংক ও ইউএনও অফিসের স্টাফদের মারধর করেছে। ঘটনার পরপরই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তাকর্মীরা টহল কার্যক্রম জোরদার করে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে।
তবে দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লুটের অনুমান করা হলেও, ঠিক কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকে টাকা সংরক্ষণ করা লোহার বাক্সের তালা খুলতে পারেনি। মূলত এ কারণে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. নেজাম উদ্দিনকে নিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।