বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪০ পিএম, ২ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ০৪:২৯ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কক্সবাজারের উখিয়ায় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান হত্যা মামলার আসামি ছৈয়দ করিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ মার্চ) ভোরে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) রাতে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম হরিণমারা এলাকার ডাম্প ট্রাক (মিনি ট্রাক) চালক মো. বাপ্পী, একই এলাকার ছৈয়দ আলম ওরফে কানা ছৈয়দ ও তার ছেলে মো. তারেক, রাজাপালং ইউনিয়নের তুতুরবিল এলাকার হেলাল উদ্দিন, হরিণমারা এলাকার ছৈয়দ করিম, একই এলাকার আনোয়ার ইসলাম, শাহ আলম, হিজলিয়া এলাকার মো. বাবুল, একই এলাকার মো. রুবেল এবং হরিণমারা এলাকার কামাল উদ্দিন।
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘রোববার রাতে বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তা শফিউল আলম বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। বন কর্মকর্তা হত্যার ঘটনার পর থেকে পুলিশ জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘একপর্যায়ে সোমবার ভোরে রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি ছৈয়দ করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’
শনিবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি পাচার করছিল একদল মাটিখেকো। এমন খবরে বন বিভাগের দোছড়ি বিটের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামানসহ দুজন মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় দুজনকে ডাম্প ট্রাক দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। এতে সাজ্জাদুজ্জামান ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ আলী নামে আরকেজন।
সাজ্জাদুজ্জামান কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের দোছড়ি বন বিটের কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার মোহাম্মদ শাহজাহানের ছেলে। এ ঘটনায় আহত বনরক্ষী মোহাম্মদ আলী টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার বাসিন্দা।