এবার ওড়না কেটে নামানো হলো পাবিপ্রবি ছাত্রীর মরদেহ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৯ পিএম, ২৫ মার্চ,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:৩৬ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সারভিন সুলতানা (২৬) বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ওই শিক্ষার্থী।
সোমবার (২৫ মার্চ) মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫ নাম্বার রোডের গ ব্লকের একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওই ছাত্রী মেহেরপুরের জেলার গাংনী থানার সালদা গ্রামের আজিজুল ইসলামের কন্যা।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী মেরিনা ইসলাম জানান, ২ মাস আগে ওই ছাত্রীর স্বামী এই বাসাটি ভাড়া নেন। তবে তারা সেখানে নিয়মিত থাকতেন না। গতকাল রাতে নিহতের স্বামী বাসায় ছিলেন না, তিনি ঢাকায় ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টায় তার স্বামী ঢাকা থেকে আসলে এক সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে যান। ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন দরজা বন্ধ। দরজা ধাক্কাধাক্কির পরেও না খুললে সবার সন্দেহ হয়। পরে পুলিশকে ফোন দিলে তারা ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে এসে দরজা ভাঙলে নিহতকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
নিহতের স্বামীর নাম আসিফ মোর্শেদ (২৬) তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও উন্নয়ন পরিকল্পনা বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব এখলাসপুরের আবদুল মালেকের ছেলে।
তিনি কালবেলাকে জানান, গতকাল বিকেল ৪টার সময় সারভিনের সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ দেখাচ্ছিল। সেহরির সময় ফোন দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমি ঢাকা থেকে রওনা হই। বাসায় এসে বাড়ীওয়ালাকে সাথে নিয়ে ফ্ল্যাটে গেলে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ দেখি। এরপর পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে খবর দিলে তারা এসে দরজা খুললে তাকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখি।
নিহতের সহপাঠীরা জানান, নিহত ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের ৪০৯ নাম্বার রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী। বিয়ের পর থেকে সে কখনো হলে থাকতেন কখনো স্বামীর সঙ্গে মনসুরাবাদে থাকতেন। বিয়ের পর কারও সঙ্গে তেমন কিছু শেয়ার করতেন না। হঠাৎ এ ঘটনায় তারা বিস্মিত হয়েছেন। এই ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু প্রশাসনকে সেটি তদন্ত করে বের করার অনুরোধ জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা বেলা ১১টায় খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। তখন দেখি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস চলে এসেছে। এরপর দরজা ভাঙলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠাই। সেখানে পুলিশ গিয়ে ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থা পাওয়া যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত বলা যাবে।