প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাসায় কাপাসিয়ার তরুণীর আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:১২ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজধানীর মাতুয়াইলে প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাসায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের দাবি, প্রেমিক সোহাগ বিয়ের দাবি না মানায় লামিয়া আলম (২১) তাঁর বাসায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে মাতুয়াইল আঃ হাজী লতিফ ভুঁইয়া কলেজের পাশের একটি বাড়িতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে লামিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই হাসপাতাল থেকে
ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ প্রেমিক সোহাগ পালিয়ে যায় বলে জানান নিহত লামিয়ার মা মঞ্জু বেগম।
মৃত লামিয়া গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও গ্রামের আলম হোসেনের মেয়ে। নিহত লামিয়া ধানমন্ডির ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী ছিল।
মৃত লামিয়ার মা মঞ্জু বেগম আরো জানান, তারা গ্রামে থাকেন। লামিয়া ধানমন্ডিতে থেকে ভার্সিটিতে পড়েন। সোহাগের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। তার স্ত্রী ও একটি সন্তানও রয়েছে। চার বছর আগে লামিয়া গাজীপুর লেখাপড়া করার সময় সেখানে সোহাগের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি বিয়ের দাবি করে আসছিলো সে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার লামিয়া মাতুয়াইলে সোহাগের বাসায় গিয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল। সে সময় সোহাগই তাকে হাসপাতাল থেকে পাকস্থলী পরিষ্কার করিয়ে মুন্সীগঞ্জে লামিয়ার নানাবাড়িতে রেখে আসেন।
আরও জানান, তিনি ওই খবর শুনে গাজীপুর থেকে মুন্সীগঞ্জে মেয়ের কাছে যান। সেখান থেকে লামিয়া আবার সোহাগের বাসায় যাবে বলে জানান। এ জন্য রোববার তিনি মুন্সীগঞ্জ থেকে মাতুয়াইলে সোহাগের বাসায় যান। বুধবার তাদের গাজীপুর চলে যাওয়ার কথা ছিল। সকালে সোহাগ কর্মস্থলে গেলে লামিয়ার সঙ্গে ফোনে রাগারাগি হয়। একপর্যায়ে লামিয়া রুমের দরজা বন্ধ করে দেন। তাকে অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা খোলেননি লামিয়া। অনেকক্ষণ ধাক্কাতে থাকলে একসময় দরজা খুলে যায়। তখন দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন লামিয়া। খবর পেয়ে সোহাগ বাসায় গিয়ে লামিয়াকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক লামিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল থেকেই ইউনিফর্ম পরা পুলিশ সদস্য সোহাগ দৌড়ে পালিয়ে যান। তবে তার বর্তমান কর্মস্থল সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি লামিয়ার মা।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া লামিয়ার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে তিনি জানান, এ ব্যাপারে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।