ভৈরবে বৈধ সংযোগের চেয়ে রেলওয়ের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২২ এএম, ২১ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৫১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ভৈরবে রেলওয়ের বৈধ সংযোগের চেয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বেশি। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পকেট ভারী করছে দায়িত্বে থাকা উর্ধ্বতন উপ-সহকারি বিদ্যুৎ বিতরণ কর্মকর্তা। তিনি যোগদানের পর থেকে রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের আওতায় ভৈরব-নরসিংদীর রায়পুরা মেথিকান্দা, বি-বাড়ীয়ার, আশুগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত রেলওয়ের অধীনে প্রায় দেড় শতাধিক বিদ্যুৎ লাইন চলছে বৈধভাবে আর অবৈধ সংযোগ রয়েছে প্রায় ২ শতাধিক।
অবৈধ লাইন সংযোগের বেশির ভাগই ব্যবহার হচ্ছে রেলওয়ে পাওয়ার হাউজ সুইপার কলোনী, রেলওয়ে ষ্টেশন কলোনী, ফেরীঘাট কলোনীতে ও মেঘনা পাড়ের বিভিন্ন স্থাপনা ও বাসা-বাড়িতে।
নির্ভর যোগ্য সূত্রে ও সরেজমিনে জানা যায়, সুইপার কলোনীতে ৮/১০টি বৈধ সংযোগ রয়েছে আর অবৈধ সংযোগ রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক। সব মিলিয়ে রেলওয়ের আওতাধীন প্রায় ২ শতাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। আর এসব অবৈধ সংযোগ বিদ্যুত ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে লাইনম্যান মনিরের মাধ্যমে প্রতিটি সংযোগ কারীদের কাছ থেকে সর্ব নিম্ন ৫শ/১ হাজার ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করে মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উর্ধ্বতন উপ-সহকারি বিদ্যুৎ বিতরন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বিদ্যুতের সাশ্রয়,অপব্যবহার রোধ ও লোড শেডিং মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার কাজ করলেও ভৈরবে অসাধু কর্মকর্তা আবদুলস্নাহ আল-মামুন অবৈধ সংযোগ দিয়ে মাসের পর মাস লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এদিকে সরকার হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয় জনগন মনে করছেন এসব অসাধু কর্মকর্তাদের জন্য বিদ্যুৎ খাতে সরকার বছরের পর বছর ভর্তুকি দিচ্ছেন। তাই এসব অসাধু কর্মকর্তার বিরম্নদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিতরন বিভাগের উর্দ্ধতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী কথা বলতে রাজি হননি।
রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ফারজানা সুলতানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান বিদ্যুৎ প্রকৌশলী অজয় কুমার পোদ্দার জানান, বিভিন্ন সময়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু পরে আবার তারা অবৈধ সংযোগ লাগিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। তবে ভৈরব রেলওয়ের আওতায় বৈধ সংযোগকারী গ্রাহকের সংখ্যা কত জানেন না এবং আবদুল্লাহ আল- মামুনের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে কোন কথা বলেননি।