ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর লাশ পাওয়া গেল সাগর মোহনায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ১৩ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৪৮ এএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর (১২) লাশ বঙ্গোপসাগর মোহনা রূপার চর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) নিখোঁজের সাত দিন পর লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় ওই স্কুলছাত্রী। এর পরদিন শনিবার দুপুরে এলাকার নদীর পাড় থেকে তার ওড়না ও স্যান্ডেল উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় আল আমিন (৪০) নামের স্থানীয় এক অটোরিকশাচালককে সন্দেহ করেন এলাকার লোকজন। গত শনিবার রাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ওই স্কুলছাত্রীকে রাতে অপহরণের পর ধর্ষণ শেষে শ্বাস রোধে হত্যা করে লাশ পাশের বুড়াগৌরাঙ্গ নদের মোহনায় ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন আল আমিন। এর পর থেকে পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর স্বজনেরা ট্রলার নিয়ে নদী ও সাগর মোহনায় লাশ খুঁজতে থাকেন।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ে যাওয়া–আসার পথে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রায়ই উত্যক্ত করতেন একই এলাকার অটোরিকশাচালক আল আমিন। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় স্কুলছাত্রী স্থানীয় বাজার থেকে সবজি কিনে বাড়িতে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়।
ঘটনার দিন সারা রাত তার বাড়িতে যাওয়ার পথে আল আমিনের অটোরিকশাটি রাখা ছিল। এ কারণে স্থানীয় লোকজন আল আমিনকে সন্দেহ করেন। এরপর গত শনিবার রাত আটটার দিকে পাশের গ্রামে বড় ভাইয়ের বাসা থেকে আল আমিনকে ধরে এনে পুলিশে দেন এলাকাবাসী।
চর মোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) সজল কান্তি দাস গণমাধ্যমকে বলেন, আল আমিন পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, রাতে অপহরণ করে পাশের বিলে নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় যাতে চিৎকার দিতে না পারে এ জন্য স্কুলছাত্রীর মুখ ওড়না দিয়ে চেপে ধরেন তিনি। একপর্যায়ে শ্বাস রুদ্ধ হয়ে মারা যায় সে। এরপর লাশটি পাশের বুড়াগৌরাঙ্গ নদে ফেলে দেন আল আমিন।
এ ঘটনায় সোমবার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আল আমিনকে আসামি করে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা করেন।