গাজীপুরে শ্রমিক নিহতের গুজবে চারটি বাসে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত শ্রমিকরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ১০ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:১২ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয়দানা এলাকায় শ্রমিক নিহতের গুজবে চারটি বাসে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত শ্রমিকরা। এসময় কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ছয়দানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার লঙ্গরপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আশরাফের মেয়ে আসমা (২২) তার নানী একই এলাকার মরিয়মকে (৬০) নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা থানাধীন রড মিল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আসমা তার নানীসহ তিনজন ছয়দানা হারিকেন ফ্যাক্টরি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন।
এসময় অনাবিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস গার্মেন্টস শ্রমিকসহ তিন পথচারীকে ধাক্কা দিলে নিহতের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে উত্তেজিত শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে অনাবিল পরিবহনের একটিসহ চারটি বাসে আগুন দেয় এবং কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, উত্তেজিত জনতা অনাবিল পরিবহনের একটি, বলাকা পরিবহনের একটি, উজানভাটি পরিবহনের একটি এবং আজমেরী পরিবহনের একটিসহ চারটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাসে আগুন লাগার খবরে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মো. আলমগীর হোসেন জানান, বাসের ধাক্কায় আহত তিন পথচারীকে স্থানীয় তায়রুননেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। বাসের ধাক্কায় শ্রমিক নিহতের গুজবে উত্তেজিত হয়ে শ্রমিকরা চারটি বাসে আগুন দেয় এবং কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর করে মহাসড়কে অবস্থান নেয়। আগুন নিভিয়ে রাত পৌনে ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতাকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
তায়রুননেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আশরাফ হোসেন জানান, আহতদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।