এসপি নাইমার মামলায় বাবুল আক্তারের বাবা-ভাইয়ের জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৭ পিএম, ৩ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:০৩ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালত তাদের জামিন দেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসপি) নাইমা সুলতানা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ। তিনি বলেন, মামলাটিতে আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও মো. হাবিবুর রহমান লাবু উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিয়েছিলেন। আজ তারা চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবার আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন দিয়েছেন।
এর আগে, মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। তাতে আসামি করা হয় সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, বাবুল আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে। এর আগে থেকে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকান্ডে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন বাবুল আক্তার। তাকেও খুলশী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়া আসামি ইলিয়াস হোসাইন মামলাটিতে পলাতক রয়েছেন।
আলোচিত মামলাটির এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন। সেই ভিডিওতে বনজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতনসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন তিনি। ভিডিওতে নাইমা সুলতানার সম্পর্কেও বিভিন্ন বক্তব্য দেয়া হয়। এই ঘটনার জেরে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার বাদী হয়ে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে সাবেক পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় প্রথমে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। তবে আদালতের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় বাদীকে প্রধান আসামি করে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই। এর আগে দ্বিতীয় মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়।