নৌকাডুবিতে মা-ছেলের মৃত্যু : নিখোঁজ ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৭ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৭ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
দাদির মরদেহ দেখতে এসে মাঝনদীতে নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল চরবাহিরডাঙ্গা গ্রামের নাজমা বেগম (২৫) ও তার দেড় বছরের সন্তান নাসিমের। এ ঘটনায় ৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চার যাত্রী।
আজ শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট নবগঙ্গা নদীর বাহিরডাঙ্গা ত্রিমোহনায় উদ্ধারকাজ করছে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীর বাহিরডাঙ্গা-চরবাহিরডাঙ্গা খেয়াঘাটে নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মো. আব্দুল জলিল শেখের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও তার দেড় বছরের শিশুসন্তান মো. নাসিম শেখ।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নাজমার দাদি আবেজান নেছা (৯০) তার বাহিরডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে মারা যান। দাদির মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন নিয়ে বাহিরডাঙ্গা-চর বাহিরডাঙ্গা ঘাটে পৌঁছেন। এ সময় ১৫ জন যাত্রী নিয়ে মাঝনদীতে নৌকাটি ডুবে যায়। ঘটনাস্থল থেকে নাজমা ও তার ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌকায় থাকা মনির মন্ডল জানান, ছোট নৌকায় বেশি যাত্রী উঠতে চাইলে আমি নিষেধ করলেও কেউ শোনে নাই। মৃত্যুর খবর শুনে আসা আত্মীয়রা সব যেতে চাইলে একপ্রকার বাধ্য হয়ে মাঝি নৌকা ছেড়ে দেয়। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছে নাজমার বড় ভাই রয়েল শেখ (৩০), বড় ভগ্নিপতি ছোটকালিয়া গ্রামের মাহামুদ হোসেন, চাচাতো বোনের স্বামী জোকারচর গ্রামের খানজে শেখ (৫৭) ও হামিদপুর ইউনিয়নের চৌকিদার লাবু শেখ।
ফায়ার সার্ভিসের যশোর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, রাতে ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযানে নামা সম্ভব হয়নি। আজ সকালে খুলনা থেকে ডুবুরি আনা হয়েছে। নৌকা ডুবে যাওয়ার স্থান শনাক্ত করে পুরোদমে উদ্ধার অভিযান চলছে। নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।