চট্টগ্রামে ওসিকে মারধর, ৩ আনসারকে অব্যাহতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪৯ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার পর তিন আনসার সদস্যকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গত সোমবার নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ৩১ আনসার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের সামনে মারধরের এ ঘটনা ঘটে; তবে বিষয়টি জানাজানি হয় গত শুক্রবার। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া আনসার সদস্যরা হলেন সোহেল রানা, সাইদুর রহমান ও রিটন। আর পুলিশ লাইনে যুক্ত হওয়া কর্মকর্তা হলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি নাজিম উদ্দিন।
৩১ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক নাজমুল হক নূরনবী বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেটা তদন্তের বিষয়। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর তিন আনসার সদস্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আনসার সদস্যদের কোনো দোষ পাওয়া গেলে স্থায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের সুপার (এসপি) হাছান চৌধুরী বলেন, বিভাগীয় শৃঙ্খলাজনিত কারণে রেলওয়ে থানার ওসিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফয়’স লেক এলাকায় কী ঘটেছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা দুই বাহিনীর অভ্যন্তরীণ বিষয়।
জানা গেছে, গত সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি নাজিম উদ্দিন ও বান্দরবান সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম পরিবার নিয়ে ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্কে বেড়াতে যান। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি আনসার ব্যাটালিয়ন রেঞ্জ অফিসের ফটকের সামনে পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাদের বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে আনসার সদস্য সোহেল রানাসহ কয়েকজন মিলে পুলিশ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিনকে ব্যাটালিয়ন ফটকের ভেতরে নিয়ে মারধরও করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
খবর পেয়ে আকবর শাহ থানাপুলিশ দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে এবং আনসার সদস্যদের থানায় নিয়ে যায়। পরে থানায় পুলিশ ও আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। এ ঘটনায় কোনো মামলা না করে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।