মেঘনায় নৌ পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদের গোলাগুলি, আটক ১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:০০ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে পুলিশ ও ডাকাতদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে নদীর এখলাশপুর সীমানায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মো. সালাউদ্দিন নামের এক ডাকাত গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর দেশি অস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামালসহ ১৩ ডাকাতকে আটক করেছে।
মোহনপুর নৌ ফাঁড়ির পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কালিপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ডাকাতি শেষে একটি ডাকাত দল গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ট্রলারে করে মেঘনার এখলাশপুর সীমানায় আসে। সেখানে পুনরায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা। খবর পেয়ে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে যায় এবং ওই ডাকাতদের ধাওয়া করে। এ সময় ওই ডাকাতেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের একজন সদস্য সামান্য আহত হন। গুরুতর আহত হন মো. সালাউদ্দিন (২৮) নামের এক ডাকাত। একপর্যায়ে ওই ডাকাতদের আটক করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ডাকাতদের ট্রলার থেকে ২টি পাইপগান, ১টি শাবল, ১০টি কিরিচ, ৫টি ককটেল, ৪টি গুলি, ৪টি ছুরি, ২৬টি স্মার্টফোন, ৩৩টি বাটন মুঠোফোন ও ৭ গ্যালন ডিজেল জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ বলেছে, আটক ডাকাতেরা হলেন মুন্সিগঞ্জের ছাব্বির মিজি (২৩), মহিউদ্দিন সরকার (৪১), আল-আমিন (২০), মো. ইমরান (২২), ফিরোজ মিজি (২৬), জীবন ব্যাপারী (২০), আনোয়ার হোসেন (২৪), জহিরুল ইসলাম (২৭) ও শাহিন মিয়া (২০) এবং মতলব উত্তর উপজেলার মো. সুজন ব্যাপারী (২৭), কাশেম ব্যাপারী (২৪), মো. সালাউদ্দিন (২৮) ও আক্তার হোসেন (২২)।
মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আটক ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ডাকাতির প্রস্তুতি আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। আটক ডাকাতদের আগামীকাল সোমবার চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হবে। এর মধ্যে আহত মো. সালাউদ্দিনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা অস্ত্র ও মালামাল আপাতত ফাঁড়িতেই রাখা হয়েছে।