সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ : ৫ শিশুকে হত্যার চেষ্টা করল সাবেক নারী ইউপি সদস্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪২ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০৩ এএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে ৫ শিশুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সাবেক সংরক্ষিত এক নারী সদস্যের বিরুদ্ধে। আহতরা শিশুরা বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের সালাহ উদ্দিন কেরানীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মমতা বেগম রুপা (৪০) উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্য এবং পশ্চিম চরবাটা গ্রামের সালাহ উদ্দিন কেরানী বাড়ির নজরুল ইসলাম রিপনের স্ত্রী।
আহতরা শিশুরা হলো, ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের পশ্চিম চরবাটা গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে সাঈদ বিন আশরাফ (১০) সাদ বিন আশরাফ (৫) ফজলে এলাহী রনির মেয়ে লুবাবা খানম জেমি (৭) জহিরুল ইসলামের মেয়ে জেবিন (৯) জাহিন (৫)।
আহত শিশুদের চাচা ফজলে এলাহী রনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা দশ ভাই, আমাদের কোন বোন নেই । রুপা আমার মেঝ ভাই রিপনের স্ত্রী। আমার বাবা হজ্জ করার জন্য বাড়ি বিক্রি করে দেয়। বিক্রি করার পর আমার বাবা রুপাকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু রুপা জোরপূর্বক বসবাস করে আসছে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ ও ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে।
কিছু দিন আগে রুপা দাবি করেন,তিনি আমার বাবার কাছ থেকে জমি ক্রয় করেন। এ নিয়ে একাধিবার ঝগড়া হয়। সে বহুদিন আমাদেরকে গুম, খুন করার হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে শিশুরা খেলাধুলা করার সময় মেঝ ভাবি রুপা তাদেরকে কৌশলে চকলেট খাওয়ার লোভ দেখিয়ে তার ঘরে ডেকে নেয়। তারপর দরজা বন্ধ করে ধারালো চুরি দিয়ে ৫শিশুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে হত্যার চেষ্টা করে।
পরে আহত শিশুদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
অভিযুক্ত মমতা বেগম রুপাকে বার বার ফোন দেয়া হলে তার স্বামী নজরুল ইসলাম রিপন ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি সবাই আহত রুপাও আহত। জায়গা সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পারিবারিক সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় অভিযুক্ত নারী নিজেও তার ছোরার আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়।