সাভারে ঢাকা কলেজের অধ্যাপকের স্ত্রী হত্যা, নারী ঘাতক আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ৭ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪০ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সাভার পৌরসভা এলাকা বিনোদবাইদের হাজেরা খাতুন (৭৩) হত্যার ঘটনায় প্রায় ছয় মাস পর অভিযুক্ত নারী ঘাতককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অনেকের স্বার্থ জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বুধবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফি। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সাভার পৌর এলাকার সিআরপির ডগরমোড়া এলাকার হাফিজুর রহমানের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক নারীর নাম মমতাজ পারভীন (৪৭), তিনি ফেনী জেলা সদরের নতুনবাড়ি গ্রামের মরহুম মফিজুর রহমানের মেয়ে। মমতাজ সাভারের সিআরপির ডগরমোড়া এলাকার হাফিজুর রহমানের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
নিহত হাজেরা খাতুন (৭৩) সাভার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে বিনোদবাইদ মহল্লার ঢাকা কলেজের সাবেক অধ্যাপক শাখায়াত হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তিনি তার ওই ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন। শাখাওয়াত হোসেনের বাড়ি মানিকগঞ্জে। হাজেরা খাতুনের সন্তানরা ছিল উচ্চ শিক্ষিত। তারা মায়ের সাথে থাকতেন না বলে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর সানজিদা শারমিন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, সাভারের বিনোদবাইদ এলাকায় চলতি বছরের গত ২৮ জুন বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে নিহতের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন মমতাজ পারভীন। বোরখা পরিহিতা মমতাজ নিহতের ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে হাজেরা খাতুনের হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে ও মুখে স্কসটেপ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান।
এ সময় ঘরের কোনো কিছু না নিয়ে শুধু নিহতের মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যান মমতাজ। বোরখা পরে ঘরে প্রবেশ করায় তাকে বাড়ির নিরাপত্তা কর্মীসহ সিসি ক্যামেরায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মমতাজকে আটক করা হয়। তবে হত্যার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা এবং কী উদ্দেশে এ হত্যাকাণ্ড তা তদন্তের স্বার্থে জানাতে চাননি পুলিশ।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এই হত্যাটি পরিকল্পিত। হত্যার পেছনে আরো অনেকেই রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি তথ্য দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরে আরো তথ্য জানানো হবে। আটককে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।