নবান্নের মৌসুমে ওএমএস ডিলারের দোকানে দীর্ঘ লাইন, চাল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৫ পিএম, ২৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকায় যখন নবান্ন উৎসব চলছে, তখন ওএমএস এ চাল বিক্রির ডিলারদের দোকানের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। ভোর থেকে লাইনে দাড়িয়েও চাল পাচ্ছে না অনেক মানুষ। চালের বরাদ্ধ কমিয়ে দেওয়ার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে খাদ্য বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে। আবার অনেক সময় প্রভাবশালী ও মুখচেনা মানুষদের চাল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়।
জানা গেছে, জেলার ৬টি পৌরসভা এলাকায় পহেলা সেপ্টম্বর থেকে ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে চাল বিক্রি শুরু করে খাদ্য বিভাগ। আগে আসলে আগে পাবেন এমন ভিত্তিতে ২৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়। প্রতি ডিলরকে প্রতিদিন দু’টন করে চাল বরাদ্ধ করা হতো। একজন ক্রেতা ৫ কেজি করে চাল কিনতে পারতো। এতে প্রতিদিন জেলায় ৯ হাজার ৬০০ জন সাশ্রয়ী মূল্যে চাল কিনতে পারতো। শুরুর থেকেই ডিলারদের ঘরের সামনে দরিদ্র মানুষের লাইন দেখা যায়।
বর্তমানে চালের পরিমান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিলার প্রতি দৈনিক ১ টন করে চাল বরাদ্ধ করা হচ্ছে। এতে একজন ডিলারের কাছ থেকে দুশো জন চাল কিনতে পারছে। তাই লাইনে দাড়ানো অর্ধেক মানুষকে চাল না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। শুধু ঝিনাইদহ শহরের ডিলারদের ৫ টন আটা দেওয়া হচ্ছে।আরো জানা যায়, প্রতি কেজি ২৪ টাকা দরে আটা কিনতে লাইনে দাড়িয়েও আটা পাচ্ছে না অনেকে।
শৈলকুপা শহরের প্রাণী সম্পদ অফিসের ডিলারের দোকানে চাল কিনতে আসা আউশিয়া গ্রামের আনজুরা বেগম বলেন, ৩ দিন ঘুরেও চাল কিনতে পারেননি তিনি। লাইনে দাড়িয়ে থেকে জানতে পারেন চাল ফুরিয়ে গেছে।
খালধারপাড়া গ্রামের রাশিদা বেগম বলেন, ৩ দিন ঘুরার পর গত মঙ্গালবার তিনি চাল পেয়েছেন। ফরিদা বেগম নামে আরেক মহিলাও একই কথা বলেন।
ওএমএস ডিলার খায়রুল ইসলাম মুকুল বলেন, প্রতিদিন ক্রেতারা ভোর রাতে এসে দোকানের সামনে লাইন দেয়। চালের পরিমান কমিয়ে দেওয়ায় অর্ধেক ক্রেতাকে ফিরে যেতে হয়।
বিষয়টি নিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হাসান মিয়া জানান, ১৭ অক্টোবর থেকে সরকারের নির্দেশে ডিলার প্রতি বরাদ্ধ কমিয়ে এক টন করা হয়েছে। এ জন্য চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না।