ভৈরবে নেশার টাকা না পেয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা ২ শিশু আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ২৩ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২০ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভৈরবের জগন্নাথপুরে প্রতিবেশী প্রবাসীর স্ত্রী হাজেরা বেগমের কাছে নেশার জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে আরিফ নামে মাদক সেবনকারী গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, নিহতের ২ শিশু সন্তানকে ও পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় নিহত হাজেরা মৃত্যুর আগে একাধিকবার থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলেও পুলিশ আমলে নেয়নি। মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে নিহতের ঘটনায় মামলা নিয়েছে পুলিশ। এদিকে হত্যার পরপরই অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা ঘাতকের ফাসিরঁ দাবী জানান।
ভৈরবের জগন্নাথপুরে গত ২১ শে অক্টোবর শুক্রবার রাত অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশী আরিফ মাদক সেবনের জন্য প্রবাসী রমিজ মিয়ার স্ত্রী ৪ সন্তানের জননী হাজেরা বেগমের ঘরে ঢুকে ১শ টাকা দাবী করে। হাজেরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার ছোট শিশু সন্ত্মান স্থানীয় সরকারি প্রাথঃ বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফসানা ও ইউসুফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রুহুল আমিনকে মারধোরে করে। এ সময় তাদের বাচাঁতে মা হাজরো বেগম এগিয়ে এলে তাকে ও মারধোর করে। পরে রাতেই হাজেরা বেগম থানায় লিথিত অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে পরদিন আসতে বলে। পরদিন পুনরায় থানায় গেলে ও অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। পরদিন শনিবার হাজেরা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে পৌছার আগেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) নিহতের মরদেহ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের কন্যা রুকসানা বেগম ও মেয়ের জামাই উজ্জল মিয়া সহ স্থানীয়রা জানান, ঘাতক আরিফ ও তার পরিবার সবাই মাদক সেবনকারি ও বিক্রেতা। আরিফ প্রায়ই মাদক সেবনের টাকার জন্য নিহতের বাড়ী গিয়ে জোর পূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতো। শুক্রবার ও আরিফ নেশার জন্য ঘরে ঢুকে ১শ টাকা দাবী করে। পরে টাকা না দেয়ায় শিশু সন্তান আফসানা ও রুহুল আমিনকে মারধোর করে আহত করে। এ সময় হাজেরা বেগম সন্তানদের বাচাঁতে গেলে তাকে মেরে আহত করে। পরে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে পৌছার আগেই সে মারা যায়। নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা ঘাতকের ফাসিরঁ দাবী জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ ফজলুর রহমান জানান, নেশার টাকা না পেয়ে আরিফ,প্রতিবেশী হাজেরা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আরিফ ও তার পরিবারের সবাই মাদক সেবনকারী। এ ঘটনায় আমরা ঘাতকদেরদ্রূত ফাসিঁ চাই।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি (তদন্ত ) মোঃ শাহআলম মোল্লা জানান, এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে রুকসানা বেগম থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা রুজু করেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। তবে নিহত হাজেরা মৃত্যুর আগে থানায় অভিযোগ নিয়ে তার কাছে আসেনি বলে ও জানান।