সাঘাটার ভরতখালী ইউপি চেয়ারম্যান নারীসহ হোটেল থেকে আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৯ অক্টোবর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৬ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন মন্ডল।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাত নয়টার পর বগুড়া সদর থানা পুলিশের অভিযানে শহরের মাটিডালি এলাকায় গোধুলী আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়। তার সাথে একই উপজেলার ভাঙ্গামোড়ের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী বিউটি বেগমকেও (২০) আটক করা হয়েছে।
এসময় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার দায়ে আরো দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন, গাইবান্ধা শহরের ভিএইড রোডের মুন্সিপাড়ার জামিল উদ্দীন প্রধানের ছেলে জাহিদ হাসান চমক (৩৮), রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের অঞ্জনের পুত্র প্রভাত (২৩)।
তাদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানার এসআই রুম্মান হাসান বাদী হয়ে দন্ড বিধি আইনের ২৯০ ধারার অপরাধে এমটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, শহরের মাটিডালী এলাকার গোধুলী আবাসিক হোটেলে কতিপয় পুরুষ ও মহিলা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত আছে। এমন সংবাদ পুলিশের কাছে আসলে ওই দিনগত রাত সোয়া নয়টার দিকে অভিযান চালানো হয়। এসময় উল্লেখিত আসামীদের অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, ভরতখালী ইউনিয়ন পরিষদের দুর্নীতি নিয়ে ওই চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ‘২০ হাজার টাকার চেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে রাতের আধারে ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া হয় ভুক্তভোগীদের কাছে। ওই সংবাদ প্রকাশের পর থেকে চেয়ারম্যানের দুর্নীতি আরো প্রকাশ পেতে থাকে। শেষ পর্যন্ত অসামাজিক কার্যকলাপে পুলিশের হাতে আটক হয়ে এলাকার মানুষের ঘৃণায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সয়লাভ হলো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল রাত থেকেই ভাইরাল হয়ে যায় চেয়ারম্যান ফারুক।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে বগুড়া সদর থানা বদ্ধপরিকর। আমাদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত রাতে (১৮ অক্টোবর) শহরের মাটিডালী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে আসামীদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।