নোয়াখালীতে অটোচালক ও নারী শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪৫ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নোয়াখালী জেলার পৃথক স্থান থেকে এক অটোচালক ও আরেকজন এসএসসি ফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলো, রাবিনা আক্তার মিম (১৬) নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার আব্দুর রহিমের মেয়ে এবং স্থানীয় এম এ রশিদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ফল প্রত্যাশী ছিল ও জসিম উদ্দিন (৩৫) সুবর্ণচর উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের মো.নুর করিম বাহারের ছেলে। সে পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার নম্বর ২ ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লা থেকে নারী শিক্ষার্থীর ও সুবর্ণচর উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমজিদ গ্রাম থেকে থেকে অটোচালকের লাশ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অটোচালক জসিম দীর্ঘ দিন থেকে পেটের জটিল সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে নিজ ঘরের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
অপরদিকে, এসএসসি ফল প্রত্যাশী রাবিনা আরেক বোনসহ ফুফুর সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। তার বাবা প্রবাসী। পরিবারের সদস্যদের অজান্তে সে শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক এ আত্মহত্যার কোন কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।