কুষ্টিয়ায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ চেষ্টা ও মারধোরের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৪ পিএম, ১৩ অক্টোবর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৪২ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ঝন্টু'র বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে। মারধোরের শিকার ঐ প্রতিবন্ধী নারী ঘটনার ৩ দিন অতিবাহিত হলেও গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, পোড়াদহ ইউনিয়নের সরূপদহ চকপাড়া আখের মোড় এলাকার আলম ডাক্তারের ছেলে বর্তমান ইউপি সদস্য ঝন্টু (৪০)।
আসামী একজন মাদক সেবনকারী লম্পট প্রকৃতির মানুষ। সে ঘটনার পূর্ব হতে বাদীর বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বোনকে কু-প্রস্তাব সহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসতেছিল। বিষয়টি বাদীর বোন তাকে সহ তার পরিবারের লোকজনদের অবগত করেন। বাদী বিষয়টি জানার পর আসামীকে এহনো কর্মকান্ড হতে বিরত থাকার জন্য বললে সে তার কথায় কোন কর্নপাত করে না।
আরো জানা যায়, সবশেষ গত ০৯ অক্টোবর সকাল আনুমানিক ১০টার সময় আসামী ঝন্টু সরূপদহ গ্রামের জনৈক আতিয়ারের বাড়ির সামনে রাস্তার উপর বাদীর বোনকে পেয়ে তার বোনের কাছে থাকা একটি বাটন মোবাইল ফোন চেয়ে নিয়ে বলে যে, তোর সাথে বহু কথা আছে তুই পরিষদে আমার সাথে এসে দেখা কর। তোকে তোর মোবাইল ফোন সহ আরো অনেক কিছু দেবো বলে আসামী তার ফোনটি নিয়ে চলে আসে। একই তারিখ বেলা আনুমানিক ১১ টার সময় ভুক্তভোগী তার ফোনটি নেওয়ার জন্য পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদে যান। ঐ সময় পরিষদে কোন লোকজন না থাকায় উক্ত আসামী পরিষদের একটি কক্ষের মধ্যে তাকে নিয়ে দরজার ছিটকিনি লাগায় দেয়। সেসময় আসামী ভুক্তভোগীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগীর গায়ে থাকা জামা পায়জামা ছিড়ে ফেলে চৌকিদারের ব্যবহারিত লাঠি দ্বারা তাকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে। ভুক্তভোগীর আত্মচিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে আসামী তাকে ছেড়ে দিয়ে দৌড়ায়ে পালিয়ে যায়।
এই ব্যপাারে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল আলম জানান, এই সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।