গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে নৌকা ছাড়া সব প্রার্থীর ভোট বর্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৩ এএম, ১২ অক্টোবর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৩৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) উপনির্বাচনে জাল ভোট ও ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের দেয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টিসহ সকল প্রার্থী একসঙ্গে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বুধবার (১২ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে সাঘাটার বগারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তারা।
ভোট বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টি থেকে এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু , বিকল্পধারার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও মাহবুবুর রহমান।
এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় সবকটি কক্ষে নৌকা মার্কায় জোর করে সুইচ টিপে ভোট নিচ্ছে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। ভোটারদের এমপি পদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। এছাড়া সব কেন্দ্রের নির্বাচনী এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই বলে দাবি করেন ভোট বর্জনকারী চার প্রার্থী।
এরআগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা যায়, অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ৪৩ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে দুই উপজেলার ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে তিন স্তরের নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আছে সব ভোটকেন্দ্র। এবারই প্রথম ইলেকট্রোনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এ আসনটিতে ভোটগ্রহণের আয়োজন করা হয়।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি এ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। এতে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২ বুথে ১৪৫ প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং এক হাজার ৯০৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে আছেন।
ভোটকেন্দ্র এবং ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি এবং আনসার ও ভিডিপি নিয়োজিত আছে। এ ছাড়া সাঘাটা উপজেলায় তিনজন ও ফুলছড়ি উপজেলায় দুজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়।