ডিবি পরিচয়ে অপহরণের পর বাকশক্তিহীন করে দেয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৫ এএম, ১১ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪৪ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ডিবি পরিচয়ে সায়েদুল হক (২৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের পর তাকে ইনজেকশন দিয়ে বাকশক্তিহীন করে দেয়া হয়েছে বলেও অপহরণকারীরা জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করেছেন তার পরিবার।
অপহৃত সায়েদুল হক বোয়ালমারীর গুনবহা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের গুনবহা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হান্নান মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় সোমবার রাত ১১টার দিকে বোয়ালমারী থানায় একটি জিডি করেন তার ভগ্নিপতি মুহাম্মাদ ওয়াজেদ আলী খান।
জিডিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বোয়ালমারী পৌর সদরের অগ্রণী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হয়ে বাড়ি ফেরার পথে ব্যাংকের সামনেই তাকে তুলে নেয়া হয়।
সায়েদুল হকের ভাই স্থানীয় সাংবাদিক এসএম রহমতুল্লাহ জানান, ব্যাংকের সামনে থেকে ডিবি পরিচয়ে আমার ভাইকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। সারাদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর রাত ১১টার দিকে অপহরণকারী সাইয়েদুল হকের ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে আমাদের ছোট বোন শামিমা জামানের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে একটি ম্যাসেজ পাঠায়।
সেখানে তারা জানায়, ’তাকে আমরা ডিবি পরিচয়ে তুলে এনেছি। আমাদের সাথে তার ঝামেলা আছে। তাকে শিক্ষা দিব। ও আমাদের সঙ্গে অনেক বেয়াদবি করেছে।’
ওই ম্যাসেজে অপহরণকারীরা আরো বলে, ’মুক্তিপণের টাকার জন্য বা মুক্তিপণের জন্য না। ওকে মারবো ওর সাথে আমাদের পুরাতন হিসাব বাকি আছে। আমাদের একজনকে পুলিশের কাছে ধরায় দিছে। ওর গলায় দশটা ইনজেকশন দিবো যাতে আর কোনদিন কথা বলতে না পারে। ইনজেকশন দেয়া হলে ছেড়ে দিবো যে কোনো জায়গায়।’
এর এক ঘণ্টা পর রাত ১২টা ২মিনিটে আরেকটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে তারা বলে, কাজ শেষ। ছেড়ে দিচ্ছি। সবকিছুই ঠিক থাকবে। কিন্তু কথা বলতে পারবে না।
এ বিষয়ে ওই জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার এসআই আক্কাস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাধারণ ডায়েরি করার পর ঘটনাস্থল ও আশেপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত সনাক্ত ও অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, গুরুত্বের সাথে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার ও জড়িতদের সনাক্তে চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে পুলিশ কাজ করছে।