সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে কলেজ ছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৫৯ এএম, ১১ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নোয়াখালীর মাইজদীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কামরুল হাসান ওরফে জোবায়ের (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল সোমবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে শহরের চন্দ্রপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতের পর ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লায় তার মৃত্যু হয়।
জোবায়ের জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিনগর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে। শহরের চন্দ্রপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় তারা বসবাস করেন। জোবায়ের শহরের সোনাপুর এলাকার আইডিয়াল পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযুক্ত রাকিবসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নিচ্ছি। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান বলেন, আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। আরও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জোবায়েরের বড় বোন নাসরিন সুলতানা বলেন, আমার ভাই বাসায় ছিলো। লাদেন নামের তার এক বন্ধু মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডেকে নেয়। এরপর জানতে পারি আমার ভাইকে ১০/১৫ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মারধর ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তারপর এলাকাবাসী ও আমরা তাকে নোয়াখালী জেরারেল হাসপাতালে নিলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করে। ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় তার মৃত্যু হয়।
জোবায়েরের মা জেসমিন আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। আমি সঠিক বিচার চাই। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একই এলাকার রাকিব ও পিয়াসের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে সোমবার সকালে জোবায়েরের সিনিয়র-জুনিয়র বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়। তখন জোবায়ের পিয়াসের ছোট ভাইকে চড়–থাপ্পড় দেন। ওই ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় রাকিব, পিয়াসসহ কয়েকজন জোবায়েরের ওপর হামলা চালান। হামলাকারীরা জোবায়েরের পেটে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়।