সরিষাবাড়ীতে স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩১ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪৩ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্বামীর নির্যাতনে সীমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন মঙ্গলবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল গ্রামের মৃত হযরত আলীর পুত্র মুদি দোকানদার জুয়েল রানার সাথে চর বালিয়া গ্রামের সুরুজ ভুঁইয়ার মেয়ে সীমা আক্তারের বিয়ে হয়। জুয়েল রানার সঙ্গে তার ভাবী রেখা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া প্রেমের নামে অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। এই ঘটনায় প্রায় তিন বছর আগে জুয়েল ও তার প্রথম স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। পরে সীমা আক্তারকে বিয়ে করার পরও ভাবীর সঙ্গে জুয়েলের অনৈতিক পরকীয়া চলতে থাকায় প্রায় প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়।
ইতিমধ্যে এই দম্পত্তির একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। স্বামীর পরকিয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যায় জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন সীমাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত সীমাকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে জুয়েলের পরিবার হাসপাতাল থেকে লাশ আনার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে। উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের কেন্দুয়া বাজার এলাকায় নিহতের পরিবার লাশ দেখতে চাইলে জুয়েলের পরিবার তীব্র আপত্তি জানায়। থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। জুয়েল এবং তার পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানাগেছে।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, স্বামী ও তার পরিবারের লোকদের নির্যাতনে গৃহবধূ সীমার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ পেয়েছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।