ডিবি পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার দুই দিন পর সেই ৫ জনকে আটক দেখাল র্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৬ পিএম, ২৭ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:১০ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তিন মাদ্রাসা শিক্ষকসহ মোট পাঁচজনকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার দুই দিন পর প্রতারণার অভিযোগে আটক দেখাল র্যাব। গত বুধবার (২৪ আগস্ট) রাত ১১টা থেকে ১টার মধ্যে উপজেলার যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট ও জগন্নাথপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
আজ শনিবার (২৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে আটকের কথা বলেন র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান।
স্বল্প সময়ের মধ্যে বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা ইলিয়াস খান। সানরাইজ বিজনেস সার্ভিস লিমিটেড (এসবিএসএল) নামে একটি কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ আটজনকে আটকের কথা জানিয়েছে র্যাব-১২। এর মধ্যে দুদিন আগে তুলে নিয়ে যাওয়া পাঁচজনও রয়েছেন।
আটকরা হলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বেতবাড়িয়া এলাকার জলিল বিশ্বাসের ছেলে হাসান আলী, মহেন্দ্রপুর এলাকার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৩), বাঁশগ্রাম এলাকার মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে মোস্তফা রাশেদ পান্না (৪৭), মৃত আলাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আইয়ুব আলী (২৮), বহলবাড়িয়া এলাকার মৃত আলতাফ শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান (২৮), প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২৯), কোম্পানির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ঝিনাইদহের মহেশপুর পদ্মপুকুর এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে মহসীন আলী (৩১) ও কোম্পানির ফিন্যান্স ডাইরেক্টর কুষ্টিয়া কুমারখালীর গোবরা এলাকার তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন (২৮)।
র্যাব বলছে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সানরাইজ বিজনেস সার্ভিস লিমিটেড (এসবিএসএল) নামে একটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি গ্রাহকদের অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কুষ্টিয়ায় ডিবি পরিচয়ে ৩ শিক্ষকসহ ৫ জনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ কুষ্টিয়ায় ডিবি পরিচয়ে ৩ শিক্ষকসহ ৫ জনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছে।