চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৪১ এএম, ২৭ আগস্ট,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৩ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগানসহ দেশের ১৬৭টি চা বাগানে ১৯তম দিন ধরে ধর্মঘট করছেন চা শ্রমিকরা। তাদের দাবি, দৈনিক ৩শ’ টাকা মজুরি। চা শ্রমিকরা জানান, গতকালের মতো আজ শনিবারেও জেলার ৯২টি বাগানে পাঞ্চায়েত কমিটি সকাল থেকে দুপুর মধ্যে বৈঠকে বসবেন বাগানের নাচঘরে। মূলত ওই বৈঠকে চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রী ও চা বাগান মালিকদের সভায় কতটুকু যুক্তিসংঘত মজুরি দেয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা করবেন। বিষয়টি জানিয়েছেন কয়েকটি চা বাগানের পাঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন নিয়ে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে আজ শনিবার বিকাল ৪টায় সভায় বসার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
প্রধামন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। মজুরির বিষয়ে শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন। গেল কয়েক দিন থেকে তারা প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন।
এদিকে বাগানের স্টাফ ও মালিকরা জানান, শ্রমিকরা কাজে যোগ না দেয়ায় প্রতিদিনই ১৫-১৬ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এখন চা গাছের উপরিভাগের পাতা শক্ত হয়ে গেছে।
মৌসুম চলে যাচ্ছে তাই এবছর এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠা কতটুকু সম্ভব হবে তা বোঝা যাচ্ছেনা।
উল্লেখ্য, গত ৯ই আগষ্ট থেকে শ্রমিকরা ৩শ’ টাকা মজুরির দাবিতে ধর্মঘটে নামেন। দাবির বিষয়ে ঢাকা ও মৌলভীবাজারে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। ১২০ টাকা থেকে দুই দফা মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫টাকা করা হলেও শ্রমিকরা তা প্রত্যাখান করেন। তারা চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে দালাল আখ্যায়িত করে তারা ভ্যালি ও পঞ্চায়েত কমিটি নেতৃত্বে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। শ্রমিকদের ক্ষোভের কারণে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দরা আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকলেও এখন আড়ালে রয়েছেন।
আন্দোলনের প্রথম দিকে চা শ্রমিকরা শুধু বাগান এলাকায় মিছিল মিটিং করলেও এখন জেলার আঞ্চলিক মহাসড়কগুলো অবরোধ করে তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। দাবি না মানায় চা শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে যাচ্ছেন।