কক্সবাজারে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে স্কুলশিক্ষককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৪ পিএম, ২৩ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৪৪ এএম, ৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
কক্সবাজারে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গীত শিক্ষককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলংজায় সংঘবদ্ধ এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘সোমবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার ইউনুছ ঘোনা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়াকে (২৮) প্রধান এবং অজ্ঞাতনামা তিনজনকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।’
এজাহারে দেওয়া তথ্যমতে, ১৮ আগস্ট রাতে ভুক্তভোগী পিএমখালীর মালিপাড়ায় তার ভাগ্নির মেহেদী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানেই বেদার মিয়ার সঙ্গে পরিচয়। পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিয়ে বাড়ি থেকে টমটম (ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা) যোগে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে বেদার ও তার সহযোগীরা গতিরোধ করেন। দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার আল বয়ান ইনস্টিটিউটের সামনের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে পালাক্রমে তিনজন ধর্ষণ করে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী বলেন, ‘সেদিন বেদারসহ ৪ জন আমার টমটম গতিরোধ করে। আমাকে জোর করে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে একজন আমার কোন কিছু না করলেও বেদার ও তার দুই সঙ্গী আমাকে ধর্ষণ করেন।’
মামলার নথিভুক্ত হতে দেরী হলো কেন এমন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভুক্তভোগীর এক স্বজন বলেন, ‘রামু উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গীত শিক্ষক। এজন্য প্রথমে রামু থানায় গেলে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা আসি আমরা। অবশেষে সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে মামলা নিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা।’
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই নারীর এজাহার পাওয়ার পর মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।’