বৃষ্টি কমে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, সতর্ক সংকেত বহাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৮ পিএম, ১৫ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতের স্থলভাগে উঠে গেছে নিম্নচাপটি। এর প্রভাবে গতকাল সোমবারও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আগের চেয়ে বৃষ্টি কিছুটা কমতে পারে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। স্থল নিম্নচাপের জন্য বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত ও অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। অব্যাহত থাকতে পারে জলোচ্ছ্বাস পরিস্থিতিও। রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টির প্রবণতা খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকায় বেশি ছিল। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বরিশালে। ঢাকায় ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। দেখা মিলছে রোদেরও। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, পশ্চিমবঙ্গ-উত্তর উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে ছত্তিশগড় এবং তৎসংলগ্ন এলাকার স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ। সোমবারও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে, ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়, ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।