শোক দিবসের কর্মসূচিতে পুলিশের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩৪ এএম, ১৫ আগস্ট,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:২৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যেতে পুলিশের বিরুদ্ধে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় পুলিশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যান।
পরে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে যোগ না দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ফিরে এসেছেন। এতে করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ জানান, জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বকশীগঞ্জ উপজেলা ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে । তাই প্রতিটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে যোগ দিতে অর্ধশত মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বের হলে পুলিশ আমাদের বাঁধা প্রদান করেন।
প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আমাদের জেরার মুখে পড়তে হয়। পুলিশি বাঁধা পেরিয়ে দুপুর ১২ টায় মেরুরচর ইউনিয়নে যাওয়ার পথে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ঝালর চর এলাকায় মোটরসাইকেল বহর থামিয়ে আর কোন কর্মসূচিতে না যাওয়ার অনুরোধ করেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. সুমন মিয়া।
এ সময় মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ও হেলমেট না থাকায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় ৪টি গাড়ি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা আর কোন কর্মসূচিতে যোগ না দিয়ে উপজেলা দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদকে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে কেন বাঁধা দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে তথ্য ছিল তাঁর মোটরসাইকেল শোডাউনকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা হতে পারে তাই তাঁকে মোটরসাইকলে যোগে চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে।
এর আগে ১৪ আগস্ট রোববার রাত ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ জানান, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় শোক দিবসের কোন কর্মসূচিতে অংশ না নিতে বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়।