কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৭ এএম, ১৪ আগস্ট,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫০ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজ ছাত্রকে বিয়ে করা আলোচিত শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের (৪০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার কলেজছাত্র স্বামী মামুন হোসেন (২২)কে আটক করা হয়।
ভবনের বাসিন্দারা জানান, রোববার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানান- তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
নাটোর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি.) নাসিম আহমেদ বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তদন্তের বলা যাবে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মামুনকে আটক করা হয়েছে।
শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। গত ৩১শে জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে খবর প্রচারিত হয়।
ওসি নাসিম আহমেদ জানান, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানতে পারিনি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
উল্লেখ্য, এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষিকা নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ই ডিসেম্বরে গোপনে কাজী অফিসে বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ৬ মাস পর তাদের সম্পর্ক জানাজানি হলে ছেলের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার থেকে এখনও বিয়ে মেনে নেননি। এর আগে ওই শিক্ষিকা প্রথমে বিয়ে করেছিলেন রাজশাহী বাঘা উপজেলার এক ছেলেকে। পারিবারিক কলহে সেই সংসার বেশিদিন টিকেনি। প্রথম স্বামীর ঘরে একজন সন্তান রয়েছে।