ভেঙে গেছে কক্সবাজারের লাবণী ও সুগন্ধা বিচ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ১২ আগস্ট,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৯ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কক্সবাজারে সমুদ্রের ঢেউয়ে ভেঙে গেছে লাবণী, সুগন্ধা ও বালিয়াড়ি সৈকত। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে সৈকত হারিয়েছে চিরচেনা সৌন্দর্য। ভাঙনের মুখে রয়েছে সৈকতের ছাতা ও ঝিনুক মার্কেট।
আজ শুক্রবার দুপুরে ভাঙন পরিস্থিতি দেখতে গেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
এ সময় কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে অস্থায়ীভাবে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছি। এখানে অনেক উঁচু বাঁধ দরকার। ইতোমধ্যে আমরা একনেকে তিন হাজার ১৪০ কোটি টাকার একটা প্রকল্প জমা দিয়েছি। নাজিরারটেক থেকে মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ হবে। তখন হয়তো সাগরের ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে কক্সবাজার। এর আগে সকালে কবির বিন আনোয়ার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা সৈকতের ভেঙে যাওয়া কবিতা চত্বর, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, লাবণী ও সুগন্ধা বিচ পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ ও স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা কাশেম আলীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত সৈকত এলাকায় বড় বড় ঢেউয়ের তোড়ে বিভিন্ন এলাকার বালু সরে যাচ্ছে। এতে ভাঙন দেখা দিয়েছে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে। ভাঙনের কারণে সৌন্দর্য হারাচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। ভাঙনের কবলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বালিয়াড়ি ও ঝাউগাছ। সৈকতের লাবণী পয়েন্টে জেলা প্রশাসন নির্মিত উন্মুক্ত মঞ্চ পর্যন্ত চলে এসেছে ভাঙন। কিছু কিছু জায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিওব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধের চেষ্টা করলেও লাভ হচ্ছে না। ঢেউয়ের আঘাতে লাবণী পয়েন্টের জিওব্যাগ ছিঁড়ে গেছে। ওই এলাকার ট্যুরিস্ট পুলিশের হেল্প ডেস্কও নদীতে চলে যাওয়ার পথে। যেকোনো সময় তা নদীগর্ভে চলে যাবে। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, বর্ষা মৗসুমে ভাঙনের কবলে পড়েছে সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত। সৈকতের কবিতা চত্বর থেকে লাবণী পয়েন্টের কিছু অংশে জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধ করা যায়নি। আমরা ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’