সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় কলেজ ছাত্র নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৬ এএম, ২৮ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৫৬ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ইমন (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই কলেজ ছাত্র। আহতদের মধ্যে শাহরিয়ার জয় তেজগাঁও পলিটেকনিকের ছাত্র এবং মশিউর রহমান রনি নারায়ণগঞ্জের নাজিমউদ্দীন কলেজের ছাত্র। তারা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল বুধবার (২৭ জুলাই) রাতে সদও উপজেলার বাগমারা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইমন আদর্শনগর এলাকার মো. শাহআলমের ছেলে। এবং একই এলাকার আলী আকবর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ছিলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওহাব বলেন, ইমন ও হামলাকারী রাসেল দুইজন বন্ধু ছিলেন। রাসেল দিন দিন বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ায় ইমন তাকে এড়িয়ে চলতেন। তাই রাসেল তার গ্যাংয়ের ৮/১০ জন সদস্য নিয়ে বুধবার সকালে ইমনকে তুল নিয়ে মারধর করে। পরবর্তীতে আবার রাতে রাসেল বাহিনী ইমন, শাহরিয়ার ও রনির ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে ইমনসহ তিনজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, নিহত ইমন ও হামলাকারী রাসেন ওরফে ডংকু রাসেল দুজন বন্ধু ছিলেন। ডংকু রাসেল দিন দিন বখাটে হয়ে যাচ্ছে, সে কাঁচপুরে নুরআলম খানের সহযোগী এবং বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাদা ওঠাত। এছাড়াও প্রতারনার মাধ্যেমেদ মানুষদের অপহরন করত। তার নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। নিহত ইমন রাসেলের সাথে আর মিশতে চাইত না। এনিয়ে দ্বন্ধ সৃষ্টি হয়।
তবে নিহত ইমনের মা মোছা. শাহিনুর বেগম বলেন, আমরা জানতে পারি সিদ্ধিরগঞ্জ মাদানী নগর এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ লেগেছে। ঘটনাস্থলে ডসয়ে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তাদের ঢাকা মেডিকেলে আনলে ইমন মারা যায়। শাহরিয়ার গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রাসেল, রাজু, স্বপন, আব্দূল খলিল, মো. ইয়াসিন, রাজিব, বিজয় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনি জানান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, ইমন এবং তার সাথে আরও কয়েকজনকে মশিউর রহমার রিন, রাজু ও রাজু ভায়রাসহ আরও কয়েকজন তাদেরকে র্যাব দিয়ে ধরিয়েছে। আবার মশিউর রহমান, রাজুরাও বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। পরে মামলা পাল্টা মামলা এবং গ্রেপ্তার এসব কারণ নিয়ে রাজু যখন বুধবার রাতে ফার্মেসীতে ওষুধ কিনতেছিল তখন ইমন ও তার সাথে আরও কয়েকজন তাকে এ্যাটাক করছে। দুই পক্ষের মারামারিতে রাজু ইমনকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এটা রাজুর বক্তব্য।
ওসি আরও জানান, নিমাকাশারী মামা-ভাগিনা গলিতে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।