মায়ের সামনে থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার- ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ২৭ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২২ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
নেত্রকোনার মদনে এক কিশোরীকে (১৪) দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার দুই তরুণ হলেন মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের রাব্বি মিয়া (২৫) ও একই এলাকার অন্তর মিয়া (২৩)। এর আগে গতকাল রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় রাব্বি মিয়া, অন্তর মিয়া ছাড়াও সারু মিয়া (২৫), বাছির মিয়া (২৬) ও শাহানুর মিয়াকে (৩২) আসামি করা হয়েছে।
মামলা এজাহারে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিল। তারা গন্তব্যে পৌঁছানোর পর কিশোরীর মা ইজিবাইকচালককে ভাড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় উচ্চশব্দে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে কয়েকজন তরুণ সেখানে এসে কিশোরীকে জোর করে ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় কিশোরীর মায়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলেও ততক্ষণে তরুণেরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে ওই তরুণেরা কিশোরীকে জোর করে পানীয়ের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে পাশের একটি এলাকায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
পরদিন শুক্রবার সকালে কিশোরীর জ্ঞান ফিরে এলে তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে আবার ধর্ষণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেলে ওই তরুণেরা পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
ঘটনার প্রায় চার দিন পর মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কিশোরীর বাবা বলেন, তিনি দরিদ্র মানুষ। এ ঘটনার পর স্থানীয় মাতব্বরেরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন। তবে কোনো বিচার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি মামলা করেছেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার হওয়া রাব্বি ও অন্তরকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আর কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।