নারায়ণগঞ্জে লোডশেডিংয়ের শিডিউল বিপর্যয় : চরম ঝুঁকিতে নিটওয়্যার শিল্প
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১০ পিএম, ২৪ জুলাই,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৩৫ এএম, ১২ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৫
গ্যাস সংকটের কারণে সারাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। জনগণের ভোগান্তি কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলাকাভিত্তিক শিডিউল মোতাবেক লোডশেডিংয়ের উদ্যোগ নেন।
তবে নারায়ণগঞ্জে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সেই শিডিউল সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না দাবি নীট ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের। একদিকে জনগণের ভোগান্তি অন্যদিকে অনিয়ন্ত্রিত লোডশেডিংয়ের কারণে নীটওয়্যার শিল্পও চরম ঝুঁকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।
তবে ডিপিডিসি কর্মকর্তারা বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, লোডশেডিং পূর্ব নির্ধারিত শিডিউল মেনেই হচ্ছে। কোথাও কোন ক্রটি থাকলে সেটা ভিন্ন বিষয়।
গত সোমবার (১৮ জুলাই) থেকে নারায়ণগঞ্জে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়। শনিবার (২৩ জুলাই) পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় নির্ধারিত সময়ের বাইরেও লোডশেডিং করতে দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকাসহ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, আমলাপাড়া, মাসদাইর, জামতলা এলাকায় নির্ধারিত সময়ের বাইরে একাধিকবার কোথাও কোথাও দুই-তিনবার পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকার সময় নির্ধারণ দিলেও সেই সূচি মেনে লোডশেডিং হচ্ছে না। ফলে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষত গৃহস্থালির কাজে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। দিনে একবার লোডশেডিংয়ের কথা থাকলেও কখনো কখনো দুই-তিনবার পর্যন্ত বিদ্যুৎ চলে যায়।
এদিকে লোডশেডিং প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) কার্যকরী কমিটির নির্বাহী সভাপতি হাতেম জানান, লোডশেডিং মানেই আমাদের উৎপাদন ব্যাহত হবে। তবে পরিকল্পিত যে দুই ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কথা বলা হয়েছিল, সেটা কিন্তু ম্যানেজেবল। সেটা আমরা ম্যানেজ করতে পারি। তবে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি হলে সেটা আমাদের জন্য সমস্যা। আর এখানে বিদ্যুতের চেয়ে আমাদের বড় যে সমস্যা হচ্ছে গ্যাস সংকট। লোডশেডিং দুয়েক ঘণ্টা ম্যানেজ করা গেলেও গ্যাস সংকট ম্যানেজ করা যাচ্ছে না। ফলে আমাদের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানি। আমাদের শিডিউল ঠিক থাকছে না, এয়ার শিপমেন্ট করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে মার্কেট বাড়াবার যে সুযোগ তৈরি হয়েছিল, তাও আমাদের হাতছাড়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এলএনজি কেন আসছে না। তারা হয়ত ভাববে এলএনজি আমদানি করতে গেলে রিজার্ভের ডলার কমবে। রিজার্ভের ডলার দিয়ে এলএনজি উৎপাদন যদি সচল রাখা হয়, তাহলে আমরা তার দ্বিগুণ রিজার্ভ এনে দিতে পারি।
এ বিষয়ে ডিপিডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোর্শেদ জানান, আমাদের একবারই লোডশেডিং হচ্ছে। একবারের বেশি কোথাও লোডশেডিং হচ্ছে না। লাইনের সমস্যার কারণে কিংবা কাজের জন্য কোথাও কোথাও সংযোগ বন্ধ থাকতে পারে, কিন্তু লোডশেডিং হচ্ছে না। লোডশেডিংয়ের শিডিউল সঠিকভাবেই রক্ষা করা হচ্ছে।