সুনামগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গনে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২২ পিএম, ২১ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:৩২ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সুনামগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোকন মিয়া (৫০) জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া গলাখাল গ্রামের ফটিক মিয়ার ছেলে।
তাৎক্ষণিক পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। আটকরা হলেন জগন্নাথপুর উপজেলার গলাখাল গ্রামের মৃত মহিবুর রহমানের ছেলে ফায়েজ আহমেদ (৩০) ও মো.আফরোজ মিয়ার দুই ছেলে সাজিদ মিয়া এবং মো. সেবুল মিয়া (২৫)।
এ ঘটনায় আদালত চত্বরের আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। আইনজীবী ও আদালতে থাকা লোকজন আঘাতকারীকে ঘিরে বন্দি করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে তাদের আটক করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালত এলাকার আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয় প্রাঙ্গনে দুপুরে খোকন মিয়াকে ঘিরে দাঁড়ান কয়েকজন। এ সময় একজন খোকন মিয়াকে ঘুষি মারেন। আরেকজন ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। রক্তাক্ত খোকন মিয়াকে তাৎক্ষণিক সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খোকন মিয়ার চাচাতো ভাই মাসুক মিয়া হাসপাতালে মরদেহের পাশে বিলাপ করতে করতে বলেন, গ্রামের লাল মিয়ার সঙ্গে বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে মামলার তারিখে এসেছিলেন তারা। তিনি আদালত প্রাঙ্গনের এক দোকানে বসেছিলেন। তার পাশ থেকেই খোকন মিয়া উঠে আসেন। এ সময় লাল মিয়ার ছেলে ফয়েজ, ইসমাইল, বাদশা মিয়ার ছেলে সাহান, আফরোজ মিয়ার ছেলে সেবুল ও সাজিদ তার ভাই খোকন মিয়াকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. রবীন্দ্র তালুকদার জানালেন, খোকন মিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা যান। নিহতের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
নিহত খোকন মিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল বাহার বলেন, আমি আজই হত্যা মামলা দায়ের করবো৷
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ফয়েজ আহমদ, সাজিদ মিয়া ও সেবুল মিয়াকে আটক করা হয়েছে।