চুয়াডাঙ্গার শহরতলী থেকে ১০৮ পাবজী খেলোয়ার আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৫ পিএম, ২০ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:১৮ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
চুয়াডাঙ্গার শহরতলী দৌলাতদিয়াড় এলাকার তাসনীম নূর কমিউনিটি সেন্টারে মোবাইল ফোনে পাবজী গেমের ফাইনাল টুর্নামেন্ট চলাকালে ১০৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের একটি দল আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর তিনটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে খেলার বিভিন্ন উপকরণসহ তাদেরকে আটক করে।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এই প্রতিযোগিরা বেশিরভাগই বয়সে কিশোর এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া কিশোর-যুবকরা জানান, অনলাইনের মাধ্যমে আমন্ত্রণ পেয়ে চুয়াডাঙ্গায় খেলতে আসেন তারা। এখানে ১৯টি খেলোয়াড় গ্রুপ অংশ নেয়। প্রতি গ্রুপে চারজন করে সদস্য রয়েছেন। সবার সঙ্গে সবার খেলা হয়। খেলা শেষে বিজয়ীদের ট্রফি উপহার দেওয়া হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, উচ্চ আদালত থেকে পাবজী গেম খেলা নিষিদ্ধ। মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে সারাদেশ থেকে আসা শতাধিক কিশোর-যুবক পাবজী টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ১০৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
তাদের সবার কাছ থেকে দামি দামি মোবাইলফোন জব্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, এখানে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি লক্ষ্যনীয়। তারা সরাসরি জুয়া না খেললেও নিজেদের মধ্যে অর্থ আদান-প্রদান করেছেন। অভিযানে সদর থানা ও পুলিশ লাইন্সের ৪০ সদস্য অংশ নেয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভুইয়া বলেন, ১৮ বছরের যুবকদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের নীচের কিশোরদেরকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান বলেন, আটকদের বয়স বিবেচনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপ্রাপ্তদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।