প্রদীপ-চুমকি দম্পতির দুর্নীতি মামলার রায় ২৭ জুলাই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩০ পিএম, ১৮ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:২৪ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মেজর সিনহা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি ও বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা দুর্নীতি মামলার রায় আগামী ২৭ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ যুক্তিতর্ক শেষে এই তারিখ নির্ধারিত করেন।
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারন। দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক আদালতে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ২৭ জুলাই মামলার রায়ের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের মাধ্যমে প্রদীপ-চুমকি দম্পতির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে গত ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। প্রদীপ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকলেও চলতি বছরের ২৩ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। পরে আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
প্রদীপের স্ত্রী চুমকির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি সম্পদ অর্থাৎ ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণও পেয়েছে দুদক।অভিযোগপত্রে যেসব সম্পদের উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো- চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরে একটি বাড়ি, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, একটি কার ও মাইক্রোবাস, কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট।
প্রদীপের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী চুমকি এসব সম্পদ অর্জন করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া প্রদীপ তার স্ত্রীকে কমিশন ব্যবসায়ী ও মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো প্রমাণ পায়নি দুদক।মামলায় ২৯ জনকে সাক্ষী করা হলেও দুদকের পক্ষে ২৪ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চুমকির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল।
তবে এই মামলায় প্রদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিপরীতে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়ায় ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। পরবর্তী গত ৪ এপ্রিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ায় ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।