শাশুড়িকে ৬ টুকরো করে মাটিচাপা, পুত্রবধূ আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৮ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪০ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ধারালো দা দিয়ে প্রথমে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বৃদ্ধাকে। পরে মাথা, হাত-পাসহ মৃতদেহকে ছয় টুকরো করে বাড়ির আঙিনায় টিউবওয়েলের পাশে পুঁতে ফেলে তারই পুত্রবধূ। একদিন পর মাটি খুঁড়ে মায়ের খোঁজ পান ছেলে।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম উমখালী হাজির পাড়া এলাকায় ঘটেছে বর্বরোচিত এ ঘটনাটি। খবর পেয়ে গতকাল রবিবার পুলিশ মমতাজ বেগমের (৬০) মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি পুত্রবধূ রাশেদা বেগমকে আটক করেছে।
নিহতের ছেলে আলমগীর জানান, স্ত্রী রাশেদা বেগমের (২৫) সঙ্গে তার মায়ের মনোমালিন্য চলছিল। শনিবার থেকে মাকে না দেখে স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে বাড়ি থেকে বৃদ্ধা চলে গেছেন বলে জানায়। এরপর ফেসবুকে মায়ের ছবি দিয়ে সন্ধান চান আলমগীর। এর মধ্যে গতকাল বিকাল ৫টার দিকে বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে মাটি উঁচু দেখতে পান। সেই মাটি খুঁড়তেই মায়ের শাড়ি ও মৃতদেহ বেরিয়ে আসে। পরে তিনি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। রামু থানাপুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মমতাজ বেগমের লাশ উদ্ধার করে।
রামু থানার ওসি (তদন্ত) অরূপ কুমার চৌধুরী জানান, অভিযুক্ত রাশেদা বেগমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শাশুড়িকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে সে। অভিযুক্তের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা অরূপ কুমার জানান, শাশুড়ি মমতাজ বেগমের সঙ্গে গত শনিবার সকালে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে রাশেদা। এরপর মাথা, দুই হাত ও দুই পা বিচ্ছিন্ন করে বস্তায় ভরে লাশ। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে টিউবওয়েলের পাশে সেই বস্তা মাটিচাপা দেয় ঘাতক।
স্থানীয়রা জানান, বছর তিনেক আগে ভাতিজি রাশেদা বেগমকে পুত্রবধূ হিসেবে ঘরে তুলেছিলেন মমতাজ বেগম। তার হাতেই খুন হতে হলো বৃদ্ধাকে।