কুষ্টিয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যর বাড়িতে চেয়ারম্যানের সশস্ত্র হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ১৫ জুলাই,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০২:৫৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার খোকসার গোপগ্রাম এ ইউপি সদস্যর বড় ভাইয়ের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে আমলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) জুম্মার নামাজের পর ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন ৪০/৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
হামলার শিকার আজিজ শেখের ছোট ভাই সাবেক ইউপি সদস্য জিয়া জানান, ঈদের পরের দিন গোপগ্রামের বাড়ইপাড়া মোড়ে স্থানীয় ছেলেরা উচ্চ শব্দে গান বাজানোর সময় চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের গান বন্ধ করতে বললে তারা গ্রাম পুলিশের উপর চড়াও হয়।
এসময় জিয়া ও চায়ের দোকানী আক্কাছ ছেলেদের বুঝিয়ে গান বাজানো বন্ধ করান। পরেরদিন সকালে চেয়ারম্যান আক্কাছের চায়ের দোকানে এসে তারা ছেলেদের গান বাজানোর অনুমতি দিয়েছে অভিযোগ করে তাকে মারধর করেন। আক্কাছ বাড়িতে এসে বিষয়টি জানালে তার স্ত্রী ও বোন চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে আক্কাছের মারধরের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তাদেরকেও মারপিট করায় চেয়ারম্যান বাড়ির নারীদের দিয়ে।
এসময় ইউপি সদস্য জিয়ার ভাতিজা মনছুর আক্কাছের স্ত্রী ও বোনকে সরিয়ে আনতে গেলে চেয়ারম্যানের ভাই আতর আলী তাকেও মারপিট করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনছুর শুক্রবার সকালের দিকে চেয়ারম্যানের ভাই আতর আলীকে একা পেয়ে মারপিট করে। এবং জুম্মার নামাজের পর চেয়ারম্যান ও তার ভাই সহ ৪০/৫০ জন ইউপি সদস্যর বড় ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট ও নারীদের মারপিট করে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে আমলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেননা। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে তিনি হামলা করেছেন বা জড়িত আছেন। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান এর পদ ছেড়ে দিবেন।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে একটি দরখাস্ত পেয়েছি। সাবেক ইউপি সদস্য জিয়ার বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।