কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে টাকা লেনদেনের ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক লাঞ্চনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৫৭ এএম, ৭ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:১৬ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে টাকা লেনদেনকালে স্টাফ ও সেবা প্রত্যাশির সাথে হাতাহাতির ভিডিও সংগ্রহকালে দৈনিক আমার সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি এজে সুজনকে বেধড়ক আঘাত করে ও তার মোবাইল ফোন ভেংগে ফেলে, পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী ও আনসার সদস্যরা।
গতকাল বুধবার দুপুর ১ টার দিকে এঘটনা ঘটে।
সাংবাদিক এজে সুজন বলেন, আমি আমার ব্যাক্তিগত কাজে সকালে কুষ্টিয়া পাসপোর্ট অফিসে যায়, সেখানে উপস্থিত কালে হঠাৎ ফিংগার প্রদান ১০৭ নং রুমের সামনে হট্টগোলের আওয়াজে সেখানে গেলে দেখি নিরাপত্তা প্রহরী আজমল এক সেবা প্রত্যাশিকে কলার ধরে টেনেহেচরে বের করে নিয়ে যাচ্ছে এবং পেছন থেকে এক আনসার ধাক্কা দিচ্ছে। এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ নিতে গেলে আমাকে বাধা প্রদান করা হয়, আমি আমার পরিচয় দিলে তারা বলে তুই কিসের সাংবাদিক, একপর্যায়ে নিরাপত্তা প্রহরী আজমল আমাকে পেছন থেকে বেধড়ক আঘাত করে এবং ভিডিও ডিলিট করতে আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিতে আসে, সাথে আরো তিন চার জন আনসার জোর করে আমার মোবাইল নিতে গেলে আমি বাধা প্রদান করি, আমাকে কিল ঘুসি ও লাঞ্চনার পর ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আমার মোবাইলটি ভেঙে ফেলে। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা ভিডিও করলে আমি তাদের কাছ থেকে আমাকে মারধর ও মোবাইল ভাঙার ভিডিও সংগ্রহ করি। এই ঘটনার পরে আমি আমার সকল সহকর্মীদের জানালে তারা এসে আমাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
পাসপোর্ট সেবা প্রত্যাশি ও প্রত্যক্ষদর্শী আবু যর গিফারি বলেন, আমরা ৩-৪ ঘন্টা লাইনে দারিয়ে আছি ফিংগার প্রদান করার আশায় কিন্তু আমরা লাইনে দারিয়ে থাকলেও আমাদের লাইন আগাচ্ছে না, কিন্তু যারা টাকা দিচ্ছে তাদের লাইনে দারানো লাগছে না, তারা এসেই ফিংগার রুমে প্রবেশ করছে, আমি ও আমার পেছনে থাকা এক পাসপোর্ট প্রত্যাশি এর প্রতিবাদ করায় একজন স্টাফ কলার ধরে টেনে বাইরে বের করে দিতে নিয়ে যায়। এই সময় সকলে এর প্রতিবাদ করলে হট্টগোল শুরু হয়, তখন উপস্থিত সাংবাদিক এর ভিডিও ধারণ করায় তাকে আঘাত ও লাঞ্চিত করে, এবং ভিডিও ডিলিট করতে না পারায় তার মোবাইলটি ভেঙে ফেলে।
এই ব্যাপারে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালক মো: জাহিদুল হক এর কাছে জানতে চাইলে ও সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে চাইলে বলেন সিসিটিভির পাসওয়ার্ড এখন নাই বিকেলে আসেন, বিকেলে ফুটেজ সম্পুর্ন পাওয়া যাবে কিনা প্রশ্নে বলেন এখন আমি পারবো না।
প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ার এক মহিলা কাউন্সিলরকে লাঞ্চিত করেন এই অফিসের উপপরিচালক মো:জাহিদুল হক, কুষ্টিয়া পৌর মেয়র আনোয়ার আলী পাসপোর্ট মহা পরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। এই উপ পরিচালক কুষ্টিয়াতে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক সংবাদ প্রচার হলেও এই অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতির রুখবার কেউ নাই, নিরুপায় ও হয়রানির শিকার হাজারো পাসপোর্ট প্রত্যাশি। এই ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে সাংবাদিক এজে সুজনকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে নিরাপত্তা প্রহরী আজমল। এই ব্যাপারে কুষ্টিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।