কমলগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ৬ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৩ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রীকে (১৪) অপহরণ করে একদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত পাভেল মিয়া (২৭) নামে এক যুবককে প্রাইভেট কারসহ আটক করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমলগঞ্জ পৌর এলাকার কুমড়াকাপন গ্রাম থেকে এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। আটক পাভেল মিয়া উপজেলার আলীনগর বস্তী এলাকার মাহমুদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে কমলগঞ্জ থানায় দুজনকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে স্কুল ছাত্রী আলীনগরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে ধলাই নদীর নতুন ব্রীজের উপরে পৌঁছামাত্রই প্রাইভেটকার চালক পাভেল মিয়া ও তোয়াহিদ মিয়া (২০) একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারে করে স্কুল ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরন করে উপজেলার আলীনগরসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। বিকেল ৪ টায় অপর অভিযুক্ত তোয়াহিদ মিয়া কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে স্কুল ছাত্রী গাড়ি থেকে নামতে চাইলে চালক পাভেল তাকে ভয় দেখিয়ে মৌলভীবাজার শহর ও বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘোরি করে রাতে উপজেলার শমসেরনগরের বড়চেগ সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পাশের রাবার বাগানে নিয়ে গাড়িতেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় স্কুল ছাত্রী চিৎকার চেচামেচি শুরু করলে চালক পাভেল তাকে শমসেরনগরের কেছুলুটি গ্রামের জনৈক শহিদুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে রাখে।
পরের দিন মঙ্গলবারও (৫ জুলাই) সকালে রাবার বাগানে নিয়ে পুনরায় গাড়ির ভিতরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সন্ধ্যায় কৌশলে গাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রীকে নামানোর চেষ্টা করলে তার বাবাসহ এলাকার লোকজন পাভেল মিয়াকে প্রাইভেটকার সহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আটক পাভেলকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (৬ জুলাই বুধবার) সকালে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।