ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নালিতাবাড়ী শহরের ১১ ব্যবসায়ী অপুরনীয় ক্ষতির মুখে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:৪৭ পিএম, ১ জুলাই,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দশটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও একটি ল' চেম্বার পুড়ে ছাই হয়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ শুক্রবার ভোররাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের তারাগঞ্জ দক্ষিণ বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পথে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে বজ্রপাতের সাথে বৃষ্টি শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরই আকস্মিক তারাগঞ্জ দক্ষিণ বাজার কাঁচামালের আড়তদারদের মার্কেটে আগুন জ্বলতে থাকে। কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর শহরের কমিউনিটি পুলিশ এবং আশপাশের মানুষ টের পান। এসময় তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের আরও লোকজন ছুটে আসেন। আগুন লাগার প্রায় আধঘণ্টা পর খবর পেয়ে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ততক্ষণে জয়নাল আবেদীন, রেফাজ উদ্দিন, গোপাল চন্দ্র দাস, বদিউজ্জামান, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল হাই, কিরণ সাহা, শিশির দাস, রূপালি সরকার, সাধন দাস এর সবকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যায় অ্যাডভোকেট দিপঙ্কর চন্দ্র সরকার দিপুর ল' চেম্বার। এসময় ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে চারটি মোটরসাইকেল, চারটি রাইস মিল, মশলা ভাঙার মিল, পিঁয়াজ-রশুন-আলুর আড়ত, গরম মশলার পাইকারী দোকান, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান, মুদী দোকান ও লন্ড্রী সম্পূর্ণ ভস্ম হয়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় প্রায় কোটি টাকার উপরে। অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, ধারণা করা হচ্ছে, বজ্রপাতের পর ইলেক্ট্রিক কোন সরঞ্জামে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটতে পারে। এছাড়াও মশলার কারখানাতে থাকা সদ্য ভাঙা মশলার গরমে বস্তায় আগুন ধরেও এ অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সকালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তার কথা জানান।