বাগেরহাটে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১১ পিএম, ২৯ জুন,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:২৭ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জিউধরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জিউধরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশার বিরুদ্ধে তার পরিষদের ৮ জন সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান বাদশাকে জবাব দাখিলের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা। গেল বছরের অক্টোবর মাসে ২য় দফায় নৌকা প্রতীক নিয়ে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান বাদশা দূর্ণীতি স্বজনপ্রীতিসহ নানাভাবে সরকারি সম্পদ আত্মসাত করে চলছেন। টিআর, কাবিখা ও কাবিটার কাজ না করে টাকা আত্মসাত, উৎকোচের বিনিময়ে বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতাসহ সকল ধরণের সামাজিক নিরাপত্তার সুবিধাভোগীদের নিকট থেকে তিনি উৎকোচ গ্রহন করে থাকেন। অভিযোগে ৫নং ওয়ার্ড সদস্য শাহজাহান মৃধাকে মারধর ও দুইজন নারী ইউপি সদস্যকে গালিগালাজ করা ও পরিষদের কোন সভায় সদস্যদের কথা বলারও সুযোগ না দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অন্যায়ের বিচার ও চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে ১৯ জুন লিখিত অভিযোগ দেন আটজন ইউপি সদস্য।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, এসব অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হলেও আমার বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে ছিল। অনেক নেতা আমার বিরোধীতা করেছেন। তাদের ইশারায় এসব বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। তদন্তে কোন অভিযোগের সত্যতা মিলবেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযোগের আলোকে তদন্ত করা হচ্ছে এবং চেয়ারম্যানকে লিখিত জবাব দাখিলের জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে। যদি কোন প্রকল্পের কাজ না করার প্রমান পাওয়া যায়, তাহলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।